ইন্টারনেট বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য গবেষণা, পরিকল্পনা, এবং সম্পাদনার কাজটি কন্টেন্ট রাইটিং হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটকে “কন্টেন্ট মার্কেট” হিসেবে বর্ননা করেছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাও আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে। বর্তমানে ডিজিটাল কন্টেন্ট এর চাহিদাই বলে দিচ্ছে বিল গেইস এর কথাটি কতটা যথোপযুক্ত ছিল। কন্টেন্ট রাইটং কী ও কন্টেন্ট রাইটিং জব সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নেয়ার জন্য কন্টেন্ট রাইটিং জব: আপনার যা জানা প্রয়োজন আর্টিকেলটি লিংকে ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং কথাটি রাইর্টিং জগতের সবকিছুই কভার করে। যেমন- কপিরাইটিং, টেকনিক্যাল রাইটিং, SEO রাইটিং এবং ওয়েবসাইটের জন্য ব্লগ পোষ্ট রাইটিং। আরও বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং রয়েছে যা বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য লেখা হয়। কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় কিংবা ব্যবসার জন্য কন্টেন্ট রাইটার নিয়োগ করতে চাইলে আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং ও কন্টেন্ট রাইটার সম্মন্ধে পরিষ্কার ধারনা রাখতে হবে। যাতে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন। যে আপনি কন্টেন্টের যে ক্যাটাগরি বেছে নিয়েছেন, তা আপনার চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আজকে আমরা এই আর্টিকেলে কন্টেন্ট রাইটিং এর বিভিন্ন ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানবো। চলুন তবে শুরু করা যাক-
আর্টিকেলে যা থাকছেঃ
SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) হলো কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করার “বিজ্ঞান” যাতে এটি গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র্যাংক করতে পারে। গুগল, বিং, ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনের নীতি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট বিষয় মেনে কন্টেন্ট লেখার প্রক্রিয়াই হলো এসইও কন্টেন্ট রাইটিং।
এসইও লেখকরা কীওয়ার্ডের সাহায্যে গবেষণা করে কন্টেন্ট লিখে। যেটি সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র্যাংক পায়। প্রতিটি এসইও কন্টেন্ট রাইটার এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো কন্টেন্টকে Google সার্চে প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে যাওয়া। গুগলের প্রথম পৃষ্ঠায় র্যাঙ্ক করা কন্টেন্ট গুলো ইন্টারনেট ইউজাররা বেশি পড়ে। যার কারনে ক্লিক বেশি পায়। এবং ফলস্বরূপ লিডও বেশি পাওয়া যায়।
SEO কন্টেন্ট রাইটাররা কীওয়ার্ড, বাক্যাংশের মূল্য এবং তাৎপর্য সম্পর্কে ভালভাবে সচেতন। এরা বিভিন্ন কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করে কন্টেন্টের কীওয়ার্ড নিয়ে গবেষনা করে। কন্টেন্টকে র্যাঙ্ক করানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান কৌশলগুলির সাথে পুরো কন্টেন্ট জুড়ে শিরোনাম, কীওয়ার্ড, মেটা ট্যাগ, ইউআরএল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অন্তর্ভূক্ত করেন। ফলস্বরূপ, তারা অর্গানিকভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে সক্ষম।
একজন এসইও রাইটার সাধারনত বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের পাঠকদের জন্য লিখেন। তারা যেকোন নির্দিষ্ট বিষয়কে সরলীকরন করে উপস্থাপন করেন। যাতে পাঠকরা লেখার বিষয়বস্তু সহজেই বুঝতে পারে।
কাজটি সহজ মনে হলেও কখনো কখনো লেখাটা চ্যালেঞ্জিং। অভিব্যক্তির সরলতা এবং বোধগম্যতা হলো এসইও রাইটিং এর কার্যকর দুটি মূল উপাদান। তারা সক্রিয়ভাবে ভাষার স্বচ্ছতা এবং সরলতার উপর জোর দেয়। তাদের অবশ্যই কপিরাইট মুক্ত দুর্দান্ত কন্টেন্ট তৈরি করতে হয় এবং নিখুঁত ব্যাকরণের অধিকারী হতে হয়।
তারা সহজে পড়া ও বোঝার জন্য একটি একটি কন্টেন্ট কীভাবে গঠন করতে হয় তা জানে। একজন ব্যক্তির অনুসন্ধানের অভিপ্রায়ও বোঝে এবং এমন কন্টেন্ট তৈরি করে যা ইন্টারনেট ইউজারদের তাদের সমস্যার উত্তর খুঁজে পেতে সহায়তা করে।
কপিরাইটিং এবং এসইও কন্টেন্ট রাইটিং প্রায় একই, সামান্য কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। কপিরাইটাররা তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রমোশনাল কন্টেন্ট তৈরি করে।
যেমন- বিজ্ঞাপন কন্টেন্ট, ইমেল মার্কেটিং কন্টেন্ট, ল্যান্ডিং পেইজ, সেলস পেইজ এবং অন্যান্য ধরণের প্রমোশনাল কন্টেন্ট । যা সম্ভাব্য ক্রেতাকে একটি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত ও প্ররোচিত করে। যেমন- ইমেইল সাবস্ক্রাইব করা, কোন একাউন্ট তৈরি করা বা পন্য ক্রয় করা ইত্যাদি।
কপিরাইটাররা জানে কিভাবে সঠিক ইমোশনাল বোতাম চাপতে হয় এবং অনলাইনে ক্রেতাদের ক্রয়ের জন্য একটি ল্যান্ডিং পেইজ বা ইমেল কন্টেন্ট ক্রিয়েট করতে হয়।
সাধারনত কপিরাইটার হওয়ার জন্য যে পরিমাণ শিক্ষার প্রয়োজন হয় তা প্রায়শই ইংরেজি, সাংবাদিকতা বা মার্কেটিং স্নাতক ডিগ্রি ছিল। এজেন্সির কপিরাইটারদের ক্ষেত্রে এটি এখনও নিয়মিত।
তবে ফ্রিল্যান্স কপিরাইটাররা এখন কপিরাইটিং কোর্স করে শিখতে পারে। ক্লায়েন্ট আনুষ্ঠানিক কপিরাইটিং সার্টিফিকেট এর চেয়ে নমুনাগুলিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
২০১৮ সালে U.S. Bureau of Labor Statistics এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন একজন কপিরাইটারের বার্ষিক গড় বেতন $৬২১৭০ মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালে, PayScale.com জানিয়েছে যে, বর্তমানে কপিরাইটারদের প্রত্যাশিত বেতন রেইঞ্জ হলো $৩৫০০০-$৭৩০০০ মার্কিন ডলার।
একজন টেকনিক্যাল রাইটার সাধারনত বিভিন্ন জিনিসের প্রযুক্তিগত দিক সম্পর্কে লিখে থাকেন। প্রযুক্তিগত লেখার লক্ষ্য হলো সবচেয়ে জটিল প্রযুক্তিগত টার্মস এবং ভূমিকা গুলিকে সরল করে লেখা। যাতে একজন সাধারণ মানুষও বুঝতে পারে। যে এটি তার জন্য কী উপকারে আসবে। যেমন- মার্কেটে নতুন আসছে এমন কোন সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার সম্পর্কে লেখা। এমনভাবে লিখতে হবে যা এর উদ্দেশ্যকে সহজ করে ভোক্তাদের কাছে উপস্থাপন করে।
ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যারোনটিক্স, কেমিস্ট্রি এবং ফিজিক্সের ক্ষেত্রগুলিকে টেকনিক্যাল বা কারিগরি রাইটিং এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যারা এই ক্ষেত্রগুলি বোঝেন শুধুমাত্র তাদের লেখক হিসাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। টেকনিক্যাল রাইটিং ডকুমেন্টেশন এবং ম্যানুয়াল গুলিতে আছে।
টেকনিক্যাল রাইটারদের বিভিন্ন ব্যাকগ্রাইন্ড ও স্কিল লেভেল থাকতে পারে। তবে তারা তথ্য ম্যাপিংয়ের মতো বিভিন্ন কৌশল জানে। যা জটিল তথ্যকে এমনভাবে সংগঠিত ও উপস্থাপন করে। যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই তা বুঝতে পারে। টেকনিক্যাল রাইটিং চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু এটি অবিশ্বাস্যভাবে ফলপ্রসূ। আর এই কারণেই একজন টেকনিক্যাল রাইটার প্রায়শই তাদের কাজের জন্য বেশি সম্মানী পেয়ে থাকেন।
সারা বিশ্বে ৩.৬ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। এবং এটি ২০২৫ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৪.৪ বিলিয়ন হতে পারে। শুধুমাত্র ফেসবুকেরই ২.৫ বিলিয়নেরও বেশি মাসিক ব্যবহারকারী রয়েছে। যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখার জন্য সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মগুলি হলো Instagram, Facebook, Twitter, Quora, Reddit, ইত্যাদি।
উপরের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট রাইটিং এখন সৃজনশীলতার দাবি রাখে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে সবচেয়ে বেশি ট্র্যাফিক থাকে। যার কারনে প্রফেশনাল থেকে শুরু করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলির সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি লক্ষনীয়।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম। যার কারনে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই জাতীয় কন্টেন্ট লেখকরা জানেন যে ইউজারদের মনোযোগ কম। এবং তাদের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ইউজারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। তাই এই জাতীয় কন্টেন্টে আকর্ষণীয় শিরোনাম, খোঁচা বাক্য এবং ছবি ব্যবহার করা হয় যাতে ইউজাররা কন্টেন্ট পড়তে প্ররোচিত হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাপশন, কুইজ, ব্লগ পোস্ট, ছবি, ইনফোগ্রাফিক্স, কাসটম ভিডিও ইত্যাদি। তারা জানেন কথোপকথন এবং ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট হলো সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রভাব বিস্তার করার জন্য আদর্শ কৌশল। একজন বিশেষজ্ঞ সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট লেখকরা রাইটার সর্বাধিক ভিউ ও লিড পাওয়ার জন্য পোস্ট করার সেরা সময় এবং বিষয় সম্পর্কে সচেতন।
কন্টেন্ট রাইটিং জব সেক্টরে একাডেমিক লেখকদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। একাডেমিক রাইটিং হলো একাডেমিকের বিভিন্ন বিভাগের জন্য গবেষণা প্রবন্ধ, এস্যাইনমেন্ট, টার্ম পেপারস, কনফারেন্স পেপারস, রিসার্চ রিপোর্ট, সাহিত্য বা বইয়ের পর্যালোচনা, স্লাইড প্রেজেন্টেশন, প্রতিবেদন ইত্যাদি লেখা।
একাডেমিক লেখার নির্দিষ্ঠ স্টাইল বা ফরম্যাট রয়েছে। এই ধরনের লেখার জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে একাডেমিক রাইটিং এর ব্যবহার বেশি হয়। এই লেখাগুলো আনুষ্ঠানিক এবং কাঠামোগত।
একজন একাডেমিক কন্টেন্ট রাইটার শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট, টার্মপেপার, সাহিত্য পর্যালোচনা, গবেষণা, এবং প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে সাহায্য করেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেগুলোতে একাডেমিক রাইটিং এর প্রচুর জব পাওয়া যায়। অন্যান্য কন্টেন্ট রাইটিং জব এর তুলনায় এই জবগুলোর ডিম্যান্ডও অনেক বেশি থাকে।
মানবিক আবেগ স্পর্শ করে, এ রকম সুন্দর, সাবলীল ও আনন্দদায়ক ভাষায় লেখা রচনাকেই ফিচার বলা হয়। ফিচার সাধারনত গতানুগতিক সংবাদ থেকে ভিন্ন, তথ্যবহুল, বিনোদনধর্মী ও শিক্ষামূলক হয়।
ফিচার রাইটিং এর মূল লক্ষ্য হলো পাঠকের মনকে নাড়া দেয়া, তাদের আবেগে ঢেউ তোলা, আলোড়ন সৃষ্ট করা। এটি হলো হৃদয় ঘটিত ব্যপার । এর নির্দিস্ট কোন কাঠামো নেই। পড়ার শুরুতেই যদি পাঠকের আবেগ স্পর্শ না করে, তা হলে সে ফিচারকে সফল ফিচারে রূপ দেয়া কষ্ট হয়ে পড়ে।
সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট, ব্লগ, টেলিভিশন সংবাদ ইত্যাদি মাধ্যমে ফিচার বেশ জনপ্রিয়। ফিচার ও সংবাদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু একটা পয়েন্টে তারা এক, তা হলো-এখানে ভুল বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না।
ফিচারকে আমরা ছোটগল্পও বলতে পারি, কিন্তু সে গল্পটি এমন বিনোদনধর্মী কৌশলে লেখা হয়, যাতে কল্পনার অবকাশ থাকে না। বর্তমানে অনলাইন রাইটিং প্লাটফর্ম গুলোতে ফিচারের চাহিদা বেশ লক্ষনীয়।
ফিচার লিখতে গেলে লেখকের সাহিত্য জ্ঞান থাকতে হবে। প্রচুর অধ্যয়ন, গবেষনা ও সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয়।
অনলাইন রাইটিং জব সেক্টরে সংবাদ রাইটিং বেশ জনপ্রিয় ওয়ে উঠেছে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে কোন ঘটনাই সংবাদ। নিউজ রাইটং বা সংবাদ লেখার একটা নির্দিষ্ট কাঠামো থাকে। ঘটনার নির্ভেজাল বিবরণই সংবাদের বৈশিষ্ট্য।
সাধারণত উল্টো পিরামিড কাঠামোতেই সংবাদ কন্টেন্ট লিখতে হয়। নতুনদের প্রশ্ন থাকতে পারে, সেটা আবার কী? উল্টো পিরামিড হলো সেই ধরনের কাঠামো, যার শুরুতেই থাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরপর ধীরে ধীরে কম গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পর্যায়ক্রমে আসে। মূল বিষয়টির বর্ণনা থাকবে সবার আগে। সূচনায় থাকবে পুরো খবরের নির্যাস। এরপর একের পর এক গুরুত্বের ক্রমানুসারে সাজানো থাকে সংবাদ।
প্রেস রিলিজ লেখকরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিবৃতি লিখেন যা সংবাদ মাধ্যম গুলোতে প্রকাশিত হয়। কোম্পানিগুলি তাদের তাদের ব্যবসায়ের সাম্প্রতিক উন্নয়ন সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা একটি অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করতে সংবাদ মাধ্যম গুলোতে পাঠায়। এটি হতে পারে সর্বশেষ পণ্য লঞ্চ সম্পর্কে মিডিয়াকে অবহিত করা, অথবা এটি কেবল একটি সাধারণ ঘোষণা হতে পারে। প্রেস রিলিজ লিখতে সংশ্লিষ্ঠ কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের প্যাড ব্যবহার করা হয়।
গোষ্ট রাইটার বাতাসের মতো – তারা জনসাধারণের কাছে অদৃশ্য। কিন্তু সবাই জানে যে তারা বিদ্যমান। তবে তারা কোন ভৌতিক গল্পের লেখক না। গোস্ট রাইটার অর্থ নেপথ্য লেখক।
এ ধরনের লেখকরা টাকার বিনিময়ে অন্যের নামে লেখে। এটা শুধু বাংলাদেশে না, দুনিয়ার সব দেশেই আছে। আপনি যে বিল ক্লিনটনের মাই লাইফ বা হিলারি ক্লিনটনের হার্ড চয়েস পড়ে অনেক জ্ঞান আহরণ করেন। আপনার কি ধারণা ওগুলো তাদের নিজেদের লেখা? না, ওগুলো প্রফেশনাল গোস্ট রাইটারদেরই লেখা।
গল্পগুলো মূল লেখকদের নিজেদের জীবনের, কাহিনীগুলো তারাই বলেন, হয়তো খসড়াও তারাই করে দেন, কিন্তু সেটাকে আগাগোড়া সার্থক বই হিসেবে রূপান্তরের কাজটা, সেটাকে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজটা, সেটার মধ্যে সাহিত্যের ভাষা ব্যবহার করার কাজটা গোস্ট রাইটাররাই করেন।
কিন্তু বইগুলো পুরো দুনিয়াতে বেস্ট সেলার হলেও, কোনো পুরস্কার পেলেও তাদের নাম কোথাও আসে না। অনেক কোম্পানি গোষ্ট লেখকদের নিয়োগ করে কারণ তারা লিখতে পারদর্শী নয় কিন্তু তবুও তাদের নিজের নামে নিবন্ধ প্রকাশ করতে চায়। গোস্ট লেখকরা বহুমূখী ও বিভিন্ন ধরনের লেখা কভার করতে পারে। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসগুলিতে গোষ্ট রাইটিং জব অহরহ পাওয়া যায়।
আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং বিষয়ে আরও ভালভাবে জানতে সাহায্য করেছে। কন্টেন্ট রাইটিং এর উপরে উল্লেখিত ক্যাটাগরিগুলো ছাড়াও আরোও অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। তবে বাকি সবগুলো বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে উপরের ক্যাটাগরিগুলোর সাথে মিলে যায়।
যাইহোক, আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার পাশাপাশি ক্যারিয়ার ডেভলপ করতে চান আপনাকে অবশ্যই উচ্চ মানসম্পন্ন কন্টেন্ট রাইটিং স্কিল অর্জন করতে হবে। কোন ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর আপনি দক্ষতা অর্জন করবেন তা আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেই অনুয়ায়ী সেলফ স্ট্যাডি ও প্রয়োজনে অনলাইনে প্রশিক্ষন গ্রহন করতে হবে। কন্টেন্ট রাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ!
রেফারেন্সঃ
https://pureinbound.com/
https://ebizfiling.com/
https://dmdutta.com/
https://www.bloggism.agency/
https://www.mhtoha.com/
ভালো ফিচার লিখতে হলে, জাহীদ রেজা নূর
যৌক্তিক উপসংহারের মাধ্যমে কন্টেন তৈরি করা সম্ভব আমরা জানি আল্প সময় ব্যয়করে কন্টেন গুলো তৈরি করা যায়।