প্রতি বছর আমেরিকাসহ পৃথিবীর অনেক দেশে নভেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে অর্থাৎ শেষ বৃহস্পতিবারে পালন করা হয় ‘থ্যাংস গিভিং ডে’ । আমেরিকায় এটি বেশ ঐতিহ্যবাহী একটি দিবস। বর্তমানে অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথেই এই দিবসটি পালন করা হয়।
এ বছর আমেরিকায় দিনটি ছিল ২৬শে নভেম্বর। প্রত্যেক বছর এদেশে দিনটি থাকে সরকারি ছুটির দিন। আধুনিক থ্যাংস গিভিং ডে পালন শুরু হয় ১৮৬৩ সালে আব্রাহাম লিংকনের সময় থেকে। তবে পরবর্তী কালে আরও অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই দিনটি আজকের অবস্থায় স্থির হয়। বলা হয়ে থাকে, আদিবাসী আমেরিকানদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্যই প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়।
আমেরিকার সাধারণ অধিবাসীদের মতো হোয়াইট হাউসেও এই দিবসটি বিশেষ কিছু আনুষ্ঠানিকতার সাথে পালন করা হয়। এই উৎসবে বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়।
ভোজ উপলক্ষে এই দিন প্রচুর পরিমাণ টার্কির মাংস রান্না করা হয়। তবে বিশেষ রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট একটি টার্কিকে না মেরে প্রাণ ভিক্ষা দেন।
প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ১৯৮৯ সাল থেকে নিয়মিত এই রীতির প্রচলন শুরু করেন। তবে জানা যায় নিয়মিত ভাবে শুরু হবার আগেও প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন একবার এই কাজটি করেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট লিংকনের ছেলে টেড তাদের থ্যাংস গিভিং ডে উপলক্ষে আনা টার্কিকে না মেরে মুক্ত করার জন্য আবদার করে। প্রেসিডেন্টও তার ছেলের কথা রাখেন। পরবর্তীতে এটিই হোয়াইট হাউসের রীতি হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুনঃ
ট্রাম্পকে নিয়ে ভাতিজির লেখা বই- প্রথম দিনেই বাজিমাত
কমলা হ্যারিস: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী উপরাষ্ট্রপতি
প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও রীতি অনুযায়ী একটি টার্কিকে রান্না না করে জীবন ভিক্ষা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস ত্যাগের পূর্বে এটি ছিল ট্রাম্প পরিবারের অন্যতম বিশেষ একটি দিন। করোনার কারনে এ বছর যথেষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি পালিত হয়েছে।
শুধু হোয়াইট হাউসেই নয় সমগ্র আমেরিকার মানুষই এই থ্যাংস গিভিং ডে তে অনেক আনন্দ করেন। এদিন শুধু খাওয়াদাওয়াই নয় বিশেষ প্যারেডেরও আয়োজন করা হয়। এই দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের সব চেয়ে দীর্ঘ প্যারেড আয়োজিত হয়। এর পরের দিন পালন করা হয় ব্ল্যাক ফ্রাই ডে। এইদিনে আমেরিকার বিভিন্ন বিপনি বিতানে দেওয়া হয় বড় অংকের মূল্য ছাড়। এই দুই দিন মিলে আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ বড় রকম আনন্দ উৎসবের সমাহার দেখা যায়।
ছবিঃ সিএনএন