তেইশ
-ইরফান আহমেদ রাজ
আমি বিজয়
 আমি ভালোবাসি গল্পের শেষের পথে পথে
 জীবনের ভুমিকায়,
আমি বিবেক
 তোমার বিজয়ের পথে পথে এক দ্বীপ্ত সরু আলোকবাহী।
তুমি তো বিজয়
 এটা জেনে রেখো,
 এই আলোকবার্তা শুধু তেমায়ই রেখে দিয়ে চলেছি।
এটা বিজয়
 যাহার পাওনা তাহারই রবে,
 নিতান্তই মন্দ যাহার অজেয় পথ তাহার হতে বহুদুরে।
আর এটা তেইশ বছর বয়স
 তোমার চলার রাস্তা পৃথীবির বুকে দিয়ে যায় গিরিখাতের ন্যায় আচড়ের দাগ।
 যেথায় হয়তো কোনোদিন বয়ে যাবে পাহাড়ি ঝর্ণার অভিরাম ঝড়াঝড়ি!
তেইশ,
 তুমি প্রায় দুই যুগকে তাড়িয়ে চলছো।
 বস্ত্রহীন শিশুকেও নতুন কালের ঘোর দিয়েছো।
বাগানের তাজা ফুলটিকেও ঝড়তে শুরু হতে দেখেছো।
 তেইস তুমিও মহান ঠিক শহীদের মতন,
 কারন তেইশের আর্তনাদ পরিশ্রমী পিতার স্বস্তি।
 তোমার পদচালনা  প্রতিটা সুখী হওয়া দুখিনী মায়ের পরম নিদ্রার ঘুম।
তেইশ,
তোমার বরাবরের ছুটে চলা,
 এক ক্লান্ত নসীবের অনুপ্রেরণার মস্ত দ্বার।
 কোমল নিরবতার শীর্ষ মুকুট একান্তইতোমার!
তেইশ,
তোমার রক্তমাখা চোখে মায়ার বাধুনি,
 ভূপৃষ্ঠপোকার চিরো উল্লাসের মাতামাতি।
 আর ঘরের এক ছোট্ট কোনে মাকড়শার নিবিড় বুনোবুনি!
তেইশ,
 তোমার একটু কান্না, মৃত শহরের প্রান্তে প্রাণের সঞ্চারন জানি।
তেইশ,
 তোমার কলো মেঘটাও,
 শত শত ক্রশ পেরিয়ে আশা পরিশ্রান্ত পথিকের কোমল হৃদয়ে স্রষ্টার জয়গান।
তেইশ দুর্গম
 আমি ক্ষতবিক্ষত করে চলি নীলাচল।
আমি সৃষ্টি
 মৃত্যুর মুখে ধেয়ে চলি অবিচল।
আমি তেইশ
 আমি চির বিদায়ের রথী
 আঠারোকে ছাড়িবার!
 আমার হঠাৎ চলা, গেয়ে যায় চিরকাল।
 আমিই তোমার পথে পথে সঙ্কিত দাবানল।
 আমিই তোমারই প্রতিচ্ছবি অবিকল।
আরও পড়ুনঃ মানবতা প্রাধান্য নয় তত -আমজেদ হোসেন সাজ্জাদ
সমাপ্ত
 
  
 







