• About us
  • গোপনীয়তার নীতি
  • নীতিমালা ও শর্তাবলী
  • যোগাযোগ
  • Login
DigiBangla24.com
  • প্রচ্ছদ
  • সংবাদ
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • সারাবাংলা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য ও সেবা
  • খেলাধুলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • অ্যাপস কর্ণার
  • ধর্ম ও জীবন
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সংবাদ
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • সারাবাংলা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য ও সেবা
  • খেলাধুলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • অ্যাপস কর্ণার
  • ধর্ম ও জীবন
No Result
View All Result
DigiBangla24.com
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সংবাদ
  • শিক্ষাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য ও সেবা
  • খেলাধুলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম ও জীবন
Home বিবিধ ইতিহাস

পেত্রা: পৌরাণিক পাথুরে নগরী ও পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি!

সিফাত জামান মেঘলা by সিফাত জামান মেঘলা
in ইতিহাস
A A
0
পেত্রা: পৌরাণিক পাথুরে নগরী ও পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি!
16
VIEWS
FacebookTwitterLinkedin

আমাদের এই পৃথিবী বহু সভ্যতার সাক্ষী। এখানে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন যুগে হাজার হাজার সভ্যতার গোড়াপত্তন যেভাবে হয়েছে, ঠিক তেমনি সেই হাজার হাজার সভ্যতা আবার বিলীনও হয়ে গেছে কালের গর্ভে। টিকে গেছে খুব কম সভ্যতাই। তাদের মধ্যে অনেক সভ্যতাই এখনও পর্যন্ত মানুষের কাছে অজানা। আবার কিছু  সভ্যতা মানুষ জেনেছে খুব বেশি দিন হয় নাই। এমনই এক সভ্যতা “পেত্রা” যার কথা জানবো আজ, যা কালেত গর্ভে হারিয়ে মানুষের জানা-শোনার বাইরে রয়ে গেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী। কিন্তু অনুষন্ধানী মানুষের অনুসন্ধানে আবার তা মানুষের মাঝে ফিরে এসেছে।

মিশরের পিরামিড  কালের সাক্ষি হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। সমস্যা হলো এর মধ্যে পিরামিডের নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে, অন্য সব সভ্যতার নির্মাণ প্রক্রিয়া ঠিক ততটা জানা নেই। তাই বলে বিজ্ঞানীদের এইসব সভ্যতার সম্পর্কে জানার প্রচেষ্টা থেমে নেই। তাদের এই প্রচেষ্টার ফলে কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া সেই সভ্যতাগুলো সম্পর্কে আমরা নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছি।

You may alsoLike

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ: আবিভক্ত ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ: আবিভক্ত ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম

জ্যাক দ্য রিপার: ১৩২ বছরেও সন্ধান মেলেনি যে সিরিয়াল কিলারের

জ্যাক দ্য রিপার: ১৩২ বছরেও সন্ধান মেলেনি যে সিরিয়াল কিলারের

পেত্রা  (গ্রিক: πέτρα; মানে পাথর, আরবি ভাষায়: البتراء, আল্‌-বুত্রা) একটি প্রাচীন আরব শহর। মিশরীয়রা আবার একে “Pel, Sela অথবা Seir” নামে ডাকত। Sela-এর প্রকৃত অর্থ হলো শিলা। জন উইলিয়াম বার্গান এই পেত্রা নগরীর বর্ণনা করে লিখেছেন, “A rose-red city half as old as time”.

পেত্রা: পৌরাণিক পাথুরে নগরী

জর্ডানের দক্ষিণ-পশ্চিমের গ্রাম ওয়াদি মুসা-র ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদ দেশে পেত্রার অবস্থান। ৪০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ থেকে ২০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী। পেত্রা নগরী মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ ছিল। এটি বিখ্যাত এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর জন্য। এটি তৈরি হয়েছে গুহার মধ্যে যা কোথাও কোথাও মাত্র ১২ ফুট চওড়া, মাথার ওপরে পাথরের দেয়াল।

গুহার পাশেই রয়েছে কঠিন পাথর মধ্যে সবচেয়ে বড়  “খাজনেত ফারাওন”   নামের মন্দির, যা নাবাতিয়ানদের কাছে ধনভাণ্ডার বা কোষাগার নামে পরিচিত ছিলো এবং একটি অর্ধগোলাকৃতির একটি নাট্যশালা যেখানে প্রায় ৩০০০ দর্শক একসাথে বসতে পারে। ১০০০০ স্কয়ার ফিট আয়তনের একটি বিচারালয়, লাইব্রেরী, সৈন্যদের ব্যারাক সহ আধুনিক নগরের সকল সুবিধা।

পেত্রা নগরীটি ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং প্রাচীন পৃথিবীর বাণিজ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এর মূল কারন মূলত দুইটি। এক: ভৌগলিক ভাবে এর অবস্থান এবং দুই: চারপাশ পাহাড় দিয়ে ঘেরা দুর্ভেদ্য প্রবেশপথ। নগরীটির পশ্চিমের গাজা, উত্তরের বসরা ও দামাস্কাস, লোহিত সাগরের পাশের আকুয়াবা ও লিউস অবস্থিত। যে কারণে পেত্রাই হয়ে উঠেছিল মরুভূমির উপর দিয়ে পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র বাণিজ্যিক পথ।

ঐ সময় এই এলাকায় কয়েকটি যাযাবর গোষ্ঠী বসতি শুরু করে। তখন এলাকায় কৃষি বিপ্লবের ছোয়া এসে পৌঁছায় নি। সেই গোত্র গুলোর জীবিকা উপার্জনের একমাত্র উপায় ছিলো ভেড়া-মহিষ গবাদিপশু লালনপালন করা। তবে নথিপত্রে পেত্রা নামক জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে।

সে সময় মিশরের সম্রাট ফারাও, এই এলাকা নিজের নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার জন্য এক সফল সেনা অভি্যান চালিয়ে ছিলেন। এরপর সেখানে নিযুক্ত প্রসাশন বরাবর প্রেরিত এক চিঠিতে এই এলাকায় নাম প্রথম উল্লেখ করা হয়। তখন পেত্রা ও তার আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারীরা যাযাবর হিসেবেই বসবাস করতেন। এরপর প্রায় দুই হাজার সাতশ বছর আগের ইয়িমেল পিয়ার পর্বতের চূড়ায় এডম নামের এক সভ্যতার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এলোমাইড নামের এই সভ্যতা সেখানে কয়েকশ বছর টিকে ছিলো। ধীরে ধীরে সেই সভ্যতা নাবাতিয়ান নামক আরেকটি সভ্যতার সাথে মিশে যায়। এই নাবাতিয়ানরাই এখন সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ হিসেবে বসবাস করছে। নাবাতিয়ান সভ্যতার মানুষরা তখন ও যাযাবর হিসেবে বসবাস করছিলো। ধীরে ধীরে তারা পশুপালন বাদ দিয়ে ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হতে শুরু করেন।

সে সময় ভূমধ্যসাগরীয় উত্তর অংশটা রোমান সাম্রাজ্যের অংশ ছিলো। আর দক্ষিণ অংশ মিশর আর কার্তেসীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিলো। এই সাম্রাজ্যের সাথে ব্যাকটেরিয়া, ভারত ও চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় স্থল পথ দিয়ে অনেক ব্যবসায়ী মধ্য প্রাচ্য পারি দিত। বেদুইন নাবাতিয়ান এই ব্যবসায়ী মানুষদের জন্য বিশ্রাম ও প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করতেন। ফলে নাবাতিয়ান অর্থনীতি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

এই পথে পরিবাহিত পণ্যের মধ্যে কর্পূর ও আগর ছিলো অন্যতম। রোমান, মিশরীয়দের কাছে এইসব পণ্যের চাহিদা ছিলো সবচেয়ে বেশি। রোমান, মিশরীয় ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হত এসব সুগন্ধি জাতীয় পণ্য। অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে অরিচেই আরব উপদ্বীপের পাশে তাদের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি করেন নাবাতিয়ানরা। সে সময় তারা তাদের সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে পেত্রা বেছে নেন। এটি স্থানীয়দের কাছে রিগেই বা রেঙ্গু নামে পরিচিত ছিল।

সেখানে নাবাতিয়ানরা যে সাম্রাজ্যে গড়ে তুলে তার জঁমকালো বর্ণনা সমসাময়িক গ্রিক ও রোমান পর্যটকদের লেখায় খুঁজে পাওয়া যায়। খ্রিষ্ট পূর্ব প্রথম শতকে জোশেফাস নামক এর পর্যটকের বর্ণনায় জাঁকজমক ও ঐশ্বর্যের বিচারে পেত্রা ছিলো মধ্য প্রাচ্যের শ্রেষ্ঠ শহর।

নাবাতিয়ানদের নিজস্ব বর্ণমালা থাকলেও তারা পুরো মধ্য প্রাচ্য জুরে প্রচলিত এ্যারমাইক বর্ণমালাই ব্যবহার করতেন। এই বর্ণমালা থেকেই পরবর্তীতে হিব্রু ও আবরি বর্ণমালা তৈরি হয়।

পেত্রার অধিবাসীদের মাঝে খুব একটা ধর্ম বিশ্বাস লক্ষ্য করা যায় না। তবে যেটুকু তথ্য পাওয়া যায় তার মাঝে নাবাতিয়ানরা আরব দেব দেবী ও পাথরের পূজা করত। তারা দুশরা নামক এক দেবতার পূজা করত, সাথে তিন দেবী আল-উজ্জা, আলাট এবং মানাত এর পুজা করত।

আরও পড়্নঃ

“মিশরীয় সভ্যতা” প্রাচীন ফারাওদের মমি ও এক রহস্যময় অভিশাপ

প্রাচীন মিশর -শাসনকাল, পিরামিড ও অন্যান্য

এসব দেব দেবীর অনেক মূর্তিই নগরীটির দেয়ালে খোদাই করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া ও আরো কিছু গবেষণায় দেখা যায় তারা সূর্য দেবতার ও পুজা করত। পেত্রা নগরুতে মূলত আরবীয় এবং রোমান আর্ট এর ছাপ লক্ষণীয়। এছাড়া ও পেত্রা নগরীতে শ্রেণী বিভেদ ছিল । যারা বেশি সম্পদের অধিকারী ছিল তাদের খাবার প্লেট থেকে শুরু করে বাড়ি ঘরে প্রচুর নকশা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া ও সন্ধার পর পেত্রার বাড়িগুলোর সামনে রাস্তার পাশে জ্বলত ব্রোঞ্জের তৈরি এক ধরণের বাতি।

পেত্রা: পৌরাণিক পাথুরে নগরী

ধর্মীয়  কাজে মন্দির হিসেবে বাক্স সদৃশ মন্দির ব্যবহার করতেন। এই বাক্সগুলোকে কেন্দ্র করে নাভাটিয়ানরা ঘরির কাটার বিপরীত দিকে ঘোরা ছিলো তাদের অন্যতম ধর্মীয় আচার।খ্রিষ্টপূর্ব একশ ছয় খ্রিস্টাব্দে এই নাবাতিয়ান সাম্রাজ্য রোমানদের দখলে চলে যায়।এর পর নাবাতিয়ানরা সিরিয়ার পার্শ্ববর্তী এলাকা দখল করে তার নাম রাখেন আরব পেত্রাইয়ান।

রোমানরা তাদের রাজধানী স্থাপন করেন এই পেত্রা শহরে।এর পর খ্রিষ্ট পূর্ব দ্বিতীয় শতকে বর্তমানে সিরিয়া ও তুরস্কের উপর দিয়ে রোম পর্যন্ত মহারাস্তা তৈরি করা হয়। এতে পেত্রা শহর গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহরের কেন্দ্র হিসেবে পরিনত হয়। পাশাপাশি এই শহর রোমান সম্রাটদের অবকাশ যাপনের স্থান হিসেবে পরিণত হয়  । খ্রিস্টপূর্ব একশ ত্রিশ শতকে রোমান সম্রাট হ্যাট্রিয়ান এখানে কিছু দিন বসবাস করেন।তার সভাসদদের বর্ণানাতে পেত্রা শহরে রাজ্যের কোষাগারসহ বিলাশবহুল হ্রদসহ উদ্যানের বর্ণনা পাওয়া যায়।

খ্রীস্টপূর্ব তৃতীয়  শতকে পেত্রার জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। তখন স্থল পথে বণিকদের কাছে সিরিয়ার দক্ষিণে পেত্রার উত্তরে অবস্থিত “পামিরা” শহরটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হতে থাকে।তাছাড়া সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহন সহজ ও কম খরচ হওয়ায় স্থল পথের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে।

পেত্রার কফিনে শেষ পেরেকটি ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন এক মহাশক্তিশালী ভূমিকম্প। সতেশ বছর আগের সেই ভূমিকম্পে পেত্রার অধিকাংশ বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছিলো।এর চারশ বছরের মুখে বইয়ের পাতার বাইরে পেত্রার অস্তিত্ব পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়।এরপর প্রায় একহাজার বছর ধরে আবর দেশ গুলো একই সূর্যময় শহরের বর্ণনা পরে তা রুপকথা ভেবে এসেছে।কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরোপীয়ান পরাশক্তিগুলো উপনিবেশ সৃষ্টির ফলে এই সব পৌরাণিক স্থানগুলো আবিষ্কারের হিরিক পরে যায়।

এর ধারাবাহিকতায় সুইজারল্যান্ডের লু ডুইগ বারখার ১৮১০ সালে পেত্রা শহর আবিষ্কারের অভিযান চালায়। প্রায় দুই বছর আরব বেদুইনের সাথে মুসলিম ছদ্মবেশে ব্যবস্যা করে সে তার নিদিষ্ট অভিষ্ঠ আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছিল। ১৮১২ সালে জোহান লু ডুইগ পেত্রা শহরের একটি ছবি এঁকেছিলেন । তার আঁকা ছবি দেখে পশ্চিমাদের প্রবল আকর্ষন করেছিলেন।

যার ফলশ্রুতিতে পেত্রা শহর নিয়ে বিস্তার গবেষণা শুরু হয়। আর এই গবেষনায় অনেক চাঞ্চল্যকর ও অদ্ভুত তথ্য বেরিয়ে আসে।২৬৪ বর্গ কিলোমিটার বা ১০২ বর্গ মাইল এই শহরে প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণায় একাধিক কৃত্রিম হ্রদ এর অস্ত্বিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।এবং এই হ্রদ গুলোর পাশে সাজানো বাগানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।প্রথম  দিকে এমন মরুভূমির মতো জনপদে সাজানো এই কৃত্রিম হ্রদ গুলোতে পানির উৎস নিয়ে বিজ্ঞানীদের সংশয় ছিলো।

কারণ এই জনপদের একমাত্র পানির উৎসটি এই হ্রদ গুলো থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিলো। পরে অবশ্য উহাদি মুসা পাহাড়ের  এই ভূ-গর্ভস্থ পানির কুপ থেকে হ্রদ পর্যন্ত পানি সহবরাহের নমুনা সংগ্রহ করেন। অর্থাৎ এই এলাকার বাসিন্দারা পানি সহবরাহের ক্ষেত্রে রোমানদের চেয়েও বেশি পরদর্শী ছিলেন।তাছাড়াপানি সরবরাহের পাশাপাশি শীতকালে এই অঞ্চলে ঝটিকা বন্যা ও আঘাত হানার কারণে বেশ কয়েকটি বাঁধের সন্ধান পান গবেষকরা।

বিজ্ঞানীদের মতে খ্রীস্টাব্দ তৃতীয় শতকে এখানে প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ ছিলো। যাদের পানের জন্য প্রতিদিন প্রায় আট লিটার সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হত।

পেত্রা শহরের মূল আকর্ষন ছিলো এর কেন্দ্রে অবস্থিত রাজধানী। সরাসরি বেলে পাথর খোদাই করে নির্মিত এই প্রসাদ এর সৌন্দর্য এক কথায় অতুলনীয়। এই ভবনে ভারতীয় সভ্যতা থেকে শুরু করে রোমান, গ্রিক ও সিরিয় ও সভ্যতার নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। নাবাটিয়ান সভ্যতার অসংখ্য সমাধি তাদের স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এই সামাধিগুলো ও কোষাগার ভবনটির মতো সরাসরি বেলেপাথরের পাহাড় খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে।

পেত্র জর্ডান

১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো ওয়াল্ড র্হ্যারিটাইজ সাইটের মর্যাদা দেয় এই পেত্রা শহরকে। এরপর এই প্রাচীন শহরকে রক্ষণাবেক্ষন করার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়।

১৯৮৯ সালে গঠিত এই ট্রাস্টের অধীনে এই পেত্রা শহরের অনেক ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের পুুুণঃনির্মাণ কাজ করা হয়।এর পর থেকে এই শহর অনেক উপন্যাসে ব্যবহার হয়েছে। ১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের এক নারী জর্ডানের এক পুরুষকে বিয়ে করে পেত্রা শহরের একগুহায় বসবাস শুরু করেন। তার স্বামীর মৃত্যু পর্যন্ত এই গুহায় অবস্থান করেন।

দেশে ফিরে গিয়ে “Married to a Baduin “নামক একটি বই লিখেন যা অনেক জনপ্রিয় হয়।সাহিত্যের পাতা ছাড়া ও পেএা  অনেক চলচ্চিত্রেও স্থান করে নিয়েছে। ইন্ডিয়ানা জোনস সিরিজের “দ্যা লাস্ট ক্রুসেইড” বা মামি সিরিজের “মামি রিটার্নস” কিংবা ট্রান্সফরমার সিরিজের “রিভেঞ্জ অব দ্যা ফলেন” যে মুভিটির কথাই বলুন, পেত্রা নগরীতে  ই করা এসব মুুভি সিরিজ।

১৯৮৫ সালের ইউনেস্কোর  ঘোষণায় পেত্রাকে বলা হয়েছে “মানব সভ্যতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলোর একটি”। এছাড়াও ২০১৭ সালে ইন্টারনেটে আয়োজিত এক জরিপে পৃথিবীর সপ্তাম আশ্চর্যের স্থান দখল করে নেয় মানব নির্মিত সবচেয়ে সুন্দর পেত্রা শহর। ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৩ লাক্ষ পর্যটক এই স্থানটি ভ্রমণ করেছেন।

তাই মানব নির্মিত এমন  সুন্দর পৌরাণিক শহর ঘুরে আসতে পারেন আপনিও।

Tags: জর্ডানপেত্রাপ্রাচীন মিশরমিশরীয় সভ্যতা
সিফাত জামান মেঘলা

সিফাত জামান মেঘলা

সিফাত জামান মেঘলা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর অনলাইনে লেখালেখি করেতে পছন্দ করেন।

Related Posts

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ: আবিভক্ত ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম
ইতিহাস

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ: আবিভক্ত ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম

জ্যাক দ্য রিপার: ১৩২ বছরেও সন্ধান মেলেনি যে সিরিয়াল কিলারের
ইতিহাস

জ্যাক দ্য রিপার: ১৩২ বছরেও সন্ধান মেলেনি যে সিরিয়াল কিলারের

এলিজাবেথ বাথোরি: ইতিহাসের নৃশংসতম বর্বর খুনি!
আন্তর্জাতিক

এলিজাবেথ বাথোরি: ইতিহাসের নৃশংসতম বর্বর খুনি!

ইতিহাস হয়ে ওঠা আলোচিত ডায়েরি
ইতিহাস

ইতিহাস হয়ে ওঠা আলোচিত ডায়েরি

ফেরাউনি যুগের শহর আবিষ্কার যা প্রায় ৩০০০ বছরের পুরোনো
আন্তর্জাতিক

ফেরাউনি যুগের শহর আবিষ্কার প্রায় ৩০০০ বছরের পুরোনো

ইতিহাসের পাতায় 'আন্টাঘর ময়দান' থেকে 'বাহাদুর শাহ পার্ক'
ইতিহাস

ইতিহাসের পাতায় ‘আন্টাঘর ময়দান’ থেকে ‘বাহাদুর শাহ পার্ক’

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

  • Trending
  • Comments
  • Latest
শিক্ষনীয় বিখ্যাত উক্তি-digibangla24

বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের ৭০টি শিক্ষনীয় বিখ্যাত উক্তি বা বানী

মানবজাতির প্রতি আল-কোরআন এর ১০০টি শিক্ষানীয় বাণী বা উপদেশ

মানবজাতির প্রতি আল-কোরআন এর ১০০টি শিক্ষনীয় বাণী বা উপদেশ

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি -অ্যাশেস ব্যান্ডের উদ্যোক্তা

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি -অ্যাশেস ব্যান্ডের উদ্যোক্তা

Inter-cadre discrimination

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য: সরকারি সেবা ও সুযোগে অসমতা

বাংলা আর্টিকেল লিখে আয়

আর্টিকেল রাইটিং কী? কীভাবে বাংলায় আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয় করবেন?

49
জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি -অ্যাশেস ব্যান্ডের উদ্যোক্তা

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি -অ্যাশেস ব্যান্ডের উদ্যোক্তা

11
কন্টেন্ট রাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিং

কন্টেন্ট রাইটিং জব: আপনার যা জানা প্রয়োজন

11
কীভাবে পাঠক ফ্রেইন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং শিখবেন

কীভাবে একটি মানসম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে হয়? -রাইটিং টিপস

9
চট্টগ্রাম বন্দর: রাজনৈতিক বিরোধিতার পেছনের রহস্য কী?

চট্টগ্রাম বন্দর: রাজনৈতিক বিরোধিতার পেছনের রহস্য কী?

Iftari _Khejur

ইফতারিতে খেজুর কেন খাবেন? প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার

শিশুর মানসিক দক্ষতা বিকাশে ভিডিও গেইমস

ভিডিও গেমস: শিশুর মানসিক দক্ষতা বিকাশের এক গোপন হাতিয়ার

১৫ আগস্ট কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছিল না মেজর ডালিম

১৫ আগস্ট কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছিল না মেজর ডালিম

Popular Stories

  • শিক্ষনীয় বিখ্যাত উক্তি-digibangla24

    বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের ৭০টি শিক্ষনীয় বিখ্যাত উক্তি বা বানী

    1 shares
    Share 1 Tweet 0
  • মানবজাতির প্রতি আল-কোরআন এর ১০০টি শিক্ষনীয় বাণী বা উপদেশ

    6 shares
    Share 6 Tweet 0
  • জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি -অ্যাশেস ব্যান্ডের উদ্যোক্তা

    7 shares
    Share 7 Tweet 0
  • আন্তঃক্যাডার বৈষম্য: সরকারি সেবা ও সুযোগে অসমতা

    18 shares
    Share 18 Tweet 0
  • অ্যাশেজ (জুনায়েদ ইভান) ব্যান্ডের কিছু বিখ্যাত গানের লিরিক্স

    4 shares
    Share 4 Tweet 0

DigiBangla24.com

DigiBangla24 Logo png

At DigiBangla24.com, we are committed to providing readers the latest news, insightful articles, and engaging stories from Bangladesh and worldwide. It is one of the largest blogging news portals in Bangladesh. Our mission is to provide an informative platform where readers can stay informed, entertained, and inspired. DigiBangla24.com is a team of passionate journalists, writers, and digital enthusiasts who believe in the power of information. Our diverse team comes from diverse backgrounds, united by a common goal: to deliver accurate and engaging content that resonates with our audience.

Follow Us

Tag Cloud

অ্যাপস রিভিউ আন্তর্জাতিক ইতিহাস ইসলাম ইসলামি জীবন ইসলামি শিক্ষা কন্টেন্ট রাইটিং কন্টেন্ট রাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং জব কন্টেন্ট রাইটিং টিপস কবিতা কৃষি তথ্য খেলাধুলা গল্প চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চাকরি চাকরির খবর ছোট গল্প জাতীয় ডিজিটাল ক্যারিয়ার ডিজিটাল বাংলা ডিজিটাল বাংলাদেশ তথ্য ও প্রযুক্তি ধর্ম ও জীবন ফ্রিল্যান্সিং বাংলা সাহিত্য বায়োগ্রাফি বিখ্যাত শিক্ষনীয় উক্তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনোদন বিবিধ ভ্রমণ মোটিভেশন মোটিভেশনাল উক্তি রিভিউ লাইফস্টাইল লাইফ স্টাইল শিক্ষনীয় উক্তি শিক্ষাঙ্গন সাহিত্য সুস্বাস্থ্য সেলিব্রেটি স্বাস্থ্য ও সেবা হেলথ টিপস

Facebook Page

Useful Links

  • Home
  • About us
  • Contributors
  • গোপনীয়তার নীতি
  • নীতিমালা ও শর্তাবলী
  • যোগাযোগ
  • Home
  • About us
  • Contributors
  • গোপনীয়তার নীতি
  • নীতিমালা ও শর্তাবলী
  • যোগাযোগ

© 2024 DigiBangla24

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সংবাদ
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • সারাবাংলা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য ও সেবা
  • খেলাধুলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • অ্যাপস কর্ণার
  • ধর্ম ও জীবন
  • Login

© 2024 DigiBangla24

This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.