করোনা বা কোভিড-১৯ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আতঙ্কিত একটি রোগের নাম। করোনা ভাইরাসের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়। করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে শুধুমাত্র সাতটি প্রজাতিই মানবদেহে রোগ সৃষ্টি করে। এই সাতটি প্রজাতির মধ্যে কোভিড-১৯ রোগ ছড়ানো SARS-CoV-2 প্রজাতিটি অন্যতম। এই করোনা ভাইরাসগুলি জুনোটিক অর্থাৎ প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমন ঘটাতে পারে। কোভিড-১৯ এর লক্ষণ সমূহ দেখা দিতে ২ থেকে ১৪ দিন বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।
করোনাভাইরাস (CoV) হচ্ছে ভাইরাসগুলির একটি বৃহৎ পরিবার।যা সাধারণ সর্দি কাশি থেকে শুরু করে মারাত্মক অসুখ করতে পারে। করোনা ভাইরাসের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে। যেমন- Middle East Respiratory Syndrome (MERS-CoV), Severe Acute Respiratory Syndrome (SARS-CoV) এবং Severe Acute Respiratory Syndrome Coronavirus 2 বা SARS-CoV-2 ইত্যাদি।
কোভিড-১৯ (COVID-19) হলো করোনাভাইরাস SARS-CoV-2 প্রজাতির মাধ্যমে ছড়ানো রোগের নাম। এই SARS-CoV-2 করোনা ভাইরাসটি একটি নতুন প্রজাতি যা ইতোপূর্বে কোন মানব শরীরে দেখা যায়নি। এটি একটি এনভেলপড, পজিটিভ সেন্স, সিঙ্গেল স্ট্র্যান্ড আরএনএ ভাইরাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (WHO)-কে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এ্যাটিপিক্যাল নিউমোনিয়ার বেশ কয়েকটি সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। পরবর্তীতে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তারা একটি ভাইরাস সনাক্ত করেছে। তাহলো একটি নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস। ওই সময়ে অস্থায়ীভাবে করোনা ভাইরাসটির নাম দেয়া হয়েছিল, “2019-nCoV”।
পরবর্তীতে এই ভাইরাসটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে Severe Acute Respiratory Syndrome Coronavirus 2 বা SARS-CoV-2 । এই ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগের নামকরণ করা হয়েছে কোভিড-১৯ ( Coronavirus Disease – COVID-19)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ১১ মার্চ ২০২০ তারিখে কোভিড-১৯ প্যান্ডিমিক (Pandemic) অর্থাৎ বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু এর আগেই ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি এ রোগের আউটব্রেককে Public Health Emergency of International Concern (PHEIC) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
করোনার নতুন প্রজাতির এই ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে সাধারনত প্রায় ২-১৪ দিন লাগে। কিছু বিশষেজ্ঞ ডাক্তারের মতে ২৪ দিন পর্যন্তও লাগতে পারে। কোভিড-১৯ এর লক্ষণ সমূহ নিম্নরূপ-
অন্যান্য অসুস্থতা থাকলে যেমন- (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, কিডনী সমস্যা, ক্যান্সার ইত্যাদি থাকলে অরগ্যান ফেইলিওর হতে পারে।
করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমন ঘটায়-
মূলত করোনা ভাইরাসটি ছড়ায়, আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুস থেকে উৎপন্ন প্রদাহ কণা বা রেসপিরেটরি ড্রপলেট এর মাধ্যমে। যা হাঁচি বা কাশির সাথে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে একমিটার বা তিন ফুট দূরত্বে যেয়ে পড়ে। এই রেসপিরেটরি ড্রপলেট এর সংস্পর্শে আসলে যেমন-
আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রমণ রোধে করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপ
তথ্যসূত্রঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
মন্তব্য লিখুন