• About us
  • গোপনীয়তার নীতি
  • নীতিমালা ও শর্তাবলী
  • যোগাযোগ
  • Login
DigiBangla24.com
  • প্রচ্ছদ
  • সংবাদ
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • সারাবাংলা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য ও সেবা
  • খেলাধুলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • অ্যাপস কর্ণার
  • ধর্ম ও জীবন
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সংবাদ
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • সারাবাংলা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য ও সেবা
  • খেলাধুলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • অ্যাপস কর্ণার
  • ধর্ম ও জীবন
No Result
View All Result
DigiBangla24.com
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সংবাদ
  • শিক্ষাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য ও সেবা
  • খেলাধুলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ধর্ম ও জীবন
Home তথ্য ও প্রযুক্তি

ডার্ক ওয়েব: যার অধিকাংশ ডুবে আছে অজানায়

সাদ ইবনে রহমান by সাদ ইবনে রহমান
in তথ্য ও প্রযুক্তি
A A
0
ডার্ক ওয়েব: যার অধিকাংশ ডুবে আছে অজানায়
8
VIEWS
FacebookTwitterLinkedin

আমারা হয়তো সবাই ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে কম বেশী পরিচিত । অনেকে হয়তো এটিকে ব্যবহারও করেছি । ডার্ক ওয়েব সাধারন মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। সাধারন কোন ব্রাউজার দিয়ে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করা যায় না । এই ওয়েবে ব্রাউস করতে প্রয়োজন বিশেষ এক ব্রাউজারের ।

ডার্ক ওয়েবের সাইটগুলো আপনি গুগল বা অন্য কোন বহুল পরিচিত সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাবেন না। ডার্ক ওয়েব, ডীপ ওয়েবের একটি অংশ যা আমাদের পরিচিত ওয়েবসাইট কন্টেন্টের থেকেও বিশাল বড় । এটি মূলত প্রাইভেসি রক্ষা করার জন্য আবিষ্কৃত হলেও এখন বিভিন্ন অবৈধ লেনদেন ও ব্যাবসার ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক এই অন্ধকারে ডুবে থাকা নেটওয়ার্ক সম্পর্কে।

You may alsoLike

সামাজিক মাধ্যম আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

সামাজিক মাধ্যম আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI): আশির্বাদ নাকি অভিশাপ?

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI): আশির্বাদ নাকি অভিশাপ?

ডার্ক ওয়েব কি?

ডার্ক ওয়েব হল এনক্রিপ্ট করা অনলাইন বিষয়বস্তু বা ডেটা যা প্রচলিত সার্চ ইঞ্জিনে খুজে পাওয়া যায় না । এনক্রিপ্টসন করা বলতে বুঝায় কোন ডেটা কে তার অরজিনাল অবস্থা থেকে আনরিডেবেল অবস্থায় নিয়ে আসা । ডেটার নির্দিষ্ট অ্যালগরিদম জানা না থাকলে কোন ভাবেই ওই ডেটাকে পুনুদ্ধার করা সম্ভব না। ডার্কওয়েবকে ডার্ক নেট বলেও ডাকা হয় ।

Dark web 3

চিত্রঃ সারফেস ওয়েব , ডীপ ওয়েব এবং ডার্ক ওয়েব ; Source: Cybint Solutions

উপরের চিত্রের মতো সারফেস ওয়েব যা গুগল সার্চ এ খুজে পাওয়া যায় সেটি মাত্র ৪ শতাংশ আর বাকি ৯৬ শতাংশই সাধারন মানুষের থেকে লুকিয়ে রাখা হয় । যেমন একটি বরফ খন্ডকে পানিতে ফেলে দিলে এর দৃশ্যমান অংশটি হবে আমাদের জানা সারফেস ওয়েব আর ডুবে থাকা ৯৬ শতাংশই হবে ডীপ ওয়েবের অংশ ।

ডার্ক ওয়েব ডীপ ওয়েবের মধ্যেই অবস্থান করে । ডীপ ওয়েবের ৯৬ শতাংশের ৪ শতাংশ হল ডার্ক ওয়েব । সাধারন ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে এই ডার্ক ওয়েব এক্সেস করা যায় না । এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ এক ব্রাউজার যাকে টর (Tor) ব্রাউজার বলা হয় ।

সারফেস ওয়েব এবং ডীপ ওয়েবের মধ্যে পার্থক্যঃ

সারফেস ওয়েব যাকে দৃশ্যমান ওয়েব ও বলা হয় যা সাধারন মানুষের ব্যাবহারের জন্য উন্মুক্ত । সাধারণত এই ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে গেলে ব্রাউজারে WWW (World Wide Web) লিখে নিতে হয় । কারন এইসমস্ত সকল ওয়েবসাইটগুলোকে একত্রে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বলা হয় ।

অন্যদিকে ইন্টারনেট হলো সংযোগ বা নেটওয়ার্ক যা ওয়েবের বিষয়বস্তু অ্যাক্সেসের জন্য ব্যবহৃত হয় । বর্তমানে Statista অনুযায়ী ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই সারফেস ওয়েবে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো সারে চার বিলিয়নের মতো । যা ২০৩০ সালের মধ্যে সারে সাত বিলিয়নে দাড়াবে বলে আশা করা যাচ্ছে (এটি আমাদের পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ) ।

অন্যদিকে ডীপ ওয়েব, WWW বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের অংশ যা সমস্ত ওয়েব কন্টেন্টের ৯৬ ভাগ দখল করে রেখেছে। এর আরেকটি লেয়ার রয়েছে যেটি ডার্ক ওয়েব নামে পরিচিত । এটি কিন্তু ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের অংশ নয় ।

ডীপ ওয়েব, গুগল বা অন্য যে কোনো প্রচলিত সার্চ ইঞ্জিন অ্যাক্সেস করতে পারে না । ডীপ ওয়েবের অধিকাংশ ডেটা থাকে প্রাইভেট ফাইল হিসেবে, এগুলো অবৈধ নয় । সাধারন মানুষের নিজস্ব গোপনীয় যেকোন ডেটাই এই ডীপ ওয়েবের অংশ । যেমন ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ কিংবা ওয়ান ড্রাইভে সংরক্ষিত যেকোনো পার্সোনাল ফাইল কিংবা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের তাদের গোপনীয় তথ্য এগুলো সবই এই ডীপ ওয়েবের অংশ ।

আমরা যে ইমেইল আদান প্রদান করি বা ফেসবুকে চ্যাট করি তা শুধু মেসেজ সেন্ডার আর রিসিভারের মধ্যে সীমাবদ্ধ , সাধারন মানুষ এই ডেটা দেখতে পায় না, তাই এই ডেটা গুলোও ডীপ ওয়েবের অংশ । এর জন্যই ডীপ ওয়েব সমস্ত ওয়েব কনটেন্টের একটি বিশাল জায়গা দখল করে রেখেছে ।

অন্যদিকে ডার্ক ওয়েব সবচেয়ে নিচের লেয়ারে অবস্থিত । কিন্তু পার্থক্য হল ডীপ ওয়েব যেমন সাধারন ব্রাউজার দিয়ে উপযুক্ত অ্যাক্সেস পারমিসন থাকলে অ্যাক্সেস করা যায় ডার্ক ওয়েবের ক্ষেত্রে কিন্তু এটি সম্ভব নয় । এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ এক ব্রাউজারের । এই ব্রাউজারটি টর ব্রাউজার নামে পরিচিত । https://www.torproject.org/ ওয়েবসাইট থেকে এই ব্রাউজার ডাউনলোড করে নিতে পারবে যে কেউ ।

Tor Browser

চিত্রঃ টর ব্রাউজার ; Source: torproject.org

ডার্ক ওয়েবের আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো সাধারন ওয়েব সাইট লিংকে যেমন .com বা .org থাকে , ডার্ক ওয়েব লিংকে কিন্তু এগুলো থাকে না এর পরিবর্তে .onion লেখা হয় । ডার্ক ওয়েবের লিংক সহজে বোধগম্য নয় । একে ইচ্ছা করেই অবোধগম্য ইউআরএল দিয়ে রাখা হয় যাতে করে সাধারন কোন সার্চ ইঞ্জিন খুজে পেতে না পারে । যেমন উদাহরণ হিসেবে এইরকম একটি লিংক হলো http://kpynyvym6eqi7wz2.onion/ । অবশ্যই এসব ওয়েবসাইট টর ব্রাউজার দিয়ে ব্রাউজ করা উচিত । টর ব্রাউজার ব্যবহার না করলে আপনার প্রাইভেসি মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে ।

সারফেস ওয়েব , ডীপ ওয়েব এবং ডার্ক ওয়েবের মধ্যে পার্থক্য আরো ভালোভাবে বুঝতে একটি উদাহরণ ব্যবহার করা যাক । আপনি এখন এইযে আর্টিকেলটি পড়ছেন এটি সাধারন বা সারফেস ওয়েবের অংশ । যে কেউ এখানে এসে পড়তে পারবে । কিন্তু এই ওয়েবসাইটের এডমিন প্যানেলে সাধারন মানুষ ব্রাউজ করতে পারবে না । কোন কনটেন্ট এডিট বা তৈরি করতে পারবে না । তাই এগুলো সব ডীপ ওয়েবের অংশ হলেও ডার্ক ওয়েবের অংশ নয়। ডার্ক ওয়েবের অংশ হতে গেলে অবশ্যই এর ইউ আর এল .onion থাকতে হবে ।

ডার্ক ওয়েব উদ্ভাবনের ইতিহাসঃ

বর্তমানে ডার্ক ওয়েব অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হলেও এর পথ চলা কিন্তু শুরু হয়েছিলো ভালো কাজকে উদ্দেশ্য করেই । গোপনীয় অনলাইন যোগাযোগের আইডিয়া কে কেন্দ্র করেই ডার্ক ওয়েবের পথ চলা শুরু হয় ১৯৬০ সালে ARPANET সৃষ্টির মাধ্যমে ।

ARPANET, পুরো নাম Advanced Research Projects Agency Network, যা একটি পরীক্ষামূলক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের অগ্রদুত , যার হাত ধরেই শুরু হয় ডার্ক ওয়েভের পথচলা। ARPANET যখন সহজ যোগাযোগের বিভিন্ন আবিষ্কার নিয়ে মেতে ছিলো তখন কোল্ড ওয়ার সময়কালীন মিলিটারি সেনারা এই আবিষ্কার গুলোকে ব্যবহার করার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে শুরু করলো। Advanced Research Projects Agency (ARPA) যা আমেরিকার সেনাবাহিনীর একটি সংস্থা, সেন্ট্রাল কোর বিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু করতে চাইলো ।

ফলসরুপ ARPA, ARPANET কে অর্থায়ন করা শুরু করলো এই সেন্ট্রাল কোর বিহীন নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে । সেন্ট্রাল কোর বিহীন বলতে এই নেটওয়ার্কে কোন কেন্দ্রিয় ব্যবস্থা থাকে না যার দ্বারা সমস্ত নেটওয়ার্ক টি নিয়ন্ত্রিত হবে । বরং প্রত্যেকটি আলদা আলাদা কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করে । কেন্দ্রিয় ব্যবস্থার নেটওয়ার্কে শত্রুরা সহজেই কেন্দ্রের ওপর হামলা চালিয়ে সমস্ত নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিতে পারতো । কিন্তু এই সেন্ট্রাল কোর বিহীন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় এটি করা অসম্ভব ছিল ।

এরপর থেকে যদিও ARPANET এর আরও বেসরকারি সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে, তবুও সরকাররের সাথে এর ভালো সম্পর্ক টিকে থাকে । ফলস্বরূপ ARPANET গবেষকরা নির্বিঘ্নে তাদের গবেষণা চালিয়ে যেতে হোক সেটা বৈধ কিংবা অবৈধ ।

১৯৭০ সালে স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্ট ল্যাব ব্যবহার করে পরীক্ষামূলক ভাবে MIT তে গোপনে গাঁজার ব্যবসায়ীক লেনদেন করেন । সরকারের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার দরুন ১৯৮৩ সালে ARPANET দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে MILNET এবং ARPANET হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ।

মিলনেট তৈরি হয় আমেরিকার সেনাবাহিনীর জন্য । আর ARPANET তৈরি হয় সাধারণ মানুষের ব্যাবহারের জন্য যা পরবর্তীতে বর্তমান ইন্টারনেটের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে । যেহেতু উভয়ের উদ্দেশ্য ছিলো সিকিউর বা গোপনীয় কানেকশন তৈরি করা তাই পরবর্তীতে এটি ডার্ক ওয়েবের রূপ তৈরি করে দেয় তাতে কোনো সন্ধেহ নেই ।

অনিয়ন রাউটিংঃ

১৯৬০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রাইভেট ইন্টারনেটের চাহিদা বাড়তে থাকে । সরকারের নজর থেকে বেঁচে থাকা এবং যেকোনো কনটেন্ট খুব সহজেই যাতে পাওয়া যায় এর জন্য টর ব্রাউজিং এর প্রয়োজন পড়ে । যদিও টর ব্রাউজিং এর ডেভেলপমেন্ট শুরু হয় ১৯৯০ থেকে তুবুও ডার্ক ওয়েবের পূর্ণতা পেতে পেতে ২০০২ সাল লেগে যায় ।

১৯৯০ সালে আমেরিকার লাভাল রিসার্চ ল্যাবে ডেভিট গোল্ডশ্ল্যাগ , মাইক রিড এবং পল সাইভারসন এই তিনজন গবেষক মিলে ইন্টারনেটে যতটা গোপনীয় ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব তার একটি পথ আবিষ্কার করতে থাকেন । এই তিন গবেষক মিলে অনেকগুলো সারভার ব্যবহার করে তাকে এনক্রিপ করে ইন্টারনেট যোগাযোগের একটি পন্থা আবিষ্কার করে ফেললেন। আর এর নাম দিলেন “অনিয়ন রাউটিং” ।

অনিয়নের বাংলা অর্থ দাঁড়ায় “পিঁয়াজ” । কিন্তু এইরকম নাম কেন দেয়া হল? এর উত্তর খুঁজতে হলে আমাদেরকে পিঁয়াজের ভিতরের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে । পিঁয়াজের মধ্যে যেমন বিভিন্ন লেয়ার থাকে একটি লেয়ারের উপর অন্যটি ধাপে ধাপে সাজানো থাকে তেমনি এই অনিয়ন রাউটিংয়ে আইপি অ্যাড্রেসকে কয়েকটি ধাপে ধাপে এনক্রিপ্ট করা হয় । ফলে কে এই টর ব্রাউজার ব্যবহার করছে এবং কোথায় থেকে ব্যবহার করছে তা জানা একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

Tor Working Process

 

ডার্ক ওয়েবের কিছু সার্চ ইঞ্জিনঃ

১। Hidden Wiki (http://zqktlwiuavvvqqt4ybvgvi7tyo4hjl5xgfuvpdf6otjiycgwqbym2qad.onion/)
২। DuckDuckGo (https://3g2upl4pq6kufc4m.onion/)
৩। Candle (http://gjobqjj7wyczbqie.onion/)
৪। Not Evil ( http://hss3uro2hsxfogfq.onion/)
৫। SearX ( http://ulrn6sryqaifefld.onion/)

ডার্ক ওয়েবের ব্যবহারঃ

ডার্ক ওয়েভে যে কেউ ইচ্ছা করলেই ব্রাউজ করতে পারবে । শুধু টর ব্রাউজার ডাউনলোড করে নিতে হবে যা অনিয়ন রাউটিং এ কাজ করে । অনিয়ন রাউটিং এ কোনো নির্দিষ্ট কেন্দ্রিয় সার্ভার থাকে না । বরং প্রত্যেকটি নেটওয়ার্কে থাকা কম্পিউটার একে অপরের সার্ভার হিসেবে কাজ করে ।

টর ব্রাউজার একাধিক লেয়ারে আপনার পরিচয় , আইপি অ্যাড্রেস, আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিন রেজুলেসন এবং অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি গোপন করে রাখে । টর ব্রাউজার ফুল স্ক্রীনে ব্যবহার বা ফুল উইন্ডো তে ব্যবহার করা উচিত নয় । এতে করে হাকার আপনার স্ক্রীন রেজুলেসন জেনে যেতে পারে ।

এটা সত্যি যে ডার্কওয়েব অবৈধ মালামাল , ভুয়া পাসপোর্ট এসবের জন্য ব্যবহার করা হয় , কিন্তু আপনি চাইলে এটা ভালো কাজেও লাগাতে পারেন । ডার্ক ওয়েবে যোগাযোগ করা যাবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ হ্যাকারদের সাথে । তাদেরকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিলে তারা যে কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক করতে সক্ষম ।

ডার্ক ওয়েবে আপনি চাইলে হত্যাকারী ভাড়া করতে পারবেন । ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করা খারপ কিছু না যদি না খারাপ কাজে ব্যবহার করা না হয় । নিজের প্রাইভেসি রক্ষার জন্য যে কেই এটিকে ব্যবহার করতে পারে। ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে অপরাধ মূলক কাজ অবশ্যই আইনত দন্ডনীয় ।

আরও পড়ুনঃ

অ্যাম্বার রুম: এক চোখ ধাঁধানো ঐশ্বর্যমন্ডিত কক্ষ হারিয়ে যাবার ইতিহাস

দা গ্রেট রেড স্পট: তিনশো বছর ধরে ঘুরতে থাকা অতিকায় দানবীয় ঘূর্ণিঝড়

আরেকটি মজার বিষয় হলো ডার্ক ওয়েবে কিন্তু সাধারণ আমরা যে কারেন্সি ব্যবহার করি সেটা ব্যবহার করা হয় না । এর পরিবর্তে ক্রিপ্টো কারেন্সি হিসেবে বিট কয়েন ব্যবহার করা হয় । লেনদেনের ক্ষেত্রে বিট কয়েন অনেকটাই নিরাপদ । ১ বিট কয়েন 18,613.20 USD এর সমান । বিট কয়েনের মাধ্যমে লেনদেন পেমেন্টসোর্স কে গোপন করে রাখা হয় ফলে লেনদেন ট্র্যাকিং করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় ।

যদিও ডার্ক ওয়েব এখনো ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে । এর শুরুটা হয়েছিলো ইন্টারনেটে মানুষের গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে । কিন্তু এটি অনেক ক্ষেত্রেই অবৈধ লেনদেন ও অসামাজিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে । আমাদের সবার উচিত এসব অপরাধমূলক কাজ থেকে বেঁচে থাকা ।

ছবিঃ সংগৃহীত

তথ্যসূত্রঃ

https://vpnoverview.com/privacy/anonymous-browsing/the-dark-web/
https://www.soscanhelp.com/blog/history-of-the-dark-web
https://www.prnewswire.com/news-releases/dont-be-scared-of-the-dark-web-300824920.html

Tags: ডার্ক ওয়েবডিপ ওয়েবতথ্য ও প্রযুক্তি
সাদ ইবনে রহমান

সাদ ইবনে রহমান

সাদ ইবনে রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।

Related Posts

সামাজিক মাধ্যম আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?
জাতীয়

সামাজিক মাধ্যম আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI): আশির্বাদ নাকি অভিশাপ?
তথ্য ও প্রযুক্তি

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI): আশির্বাদ নাকি অভিশাপ?

মোবাইল ফোনে কার্টুন ভিডিও তৈরি আয় করুন
অ্যাপস কর্ণার

মোবাইল ফোনে কার্টুন ভিডিও বানিয়ে আয় করুন

চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) কী উড়ে এসে জুড়ে বসলো?
তথ্য ও প্রযুক্তি

চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) কী উড়ে এসে জুড়ে বসলো?

ডোপামিন ডিটক্স
তথ্য ও প্রযুক্তি

ডোপামিন ডিটক্স: সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির ভয়াবহতা ও মুক্তির উপায়

ইলন মাস্ক এর হাতে কেমন হবে টুইটার
আন্তর্জাতিক

ইলন মাস্কের হাতে কেমন হবে টুইটারের ভবিষ্যত!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

DigiBangla24.com

DigiBangla24 Logo png

At DigiBangla24.com, we are committed to providing readers the latest news, insightful articles, and engaging stories from Bangladesh and worldwide. It is one of the largest blogging news portals in Bangladesh. Our mission is to provide an informative platform where readers can stay informed, entertained, and inspired. DigiBangla24.com is a team of passionate journalists, writers, and digital enthusiasts who believe in the power of information. Our diverse team comes from diverse backgrounds, united by a common goal: to deliver accurate and engaging content that resonates with our audience.

Follow Us

Tag Cloud

অনলাইনে অর্থ উপার্জন অ্যাপস রিভিউ আন্তর্জাতিক ইতিহাস ইসলাম ইসলামি জীবন ইসলামি শিক্ষা কন্টেন্ট রাইটিং কন্টেন্ট রাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং গাইডলাইন কন্টেন্ট রাইটিং জব কন্টেন্ট রাইটিং টিপস কবিতা কৃষি তথ্য খেলাধুলা গল্প চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছোট গল্প জাতীয় ডিজিটাল ক্যারিয়ার ডিজিটাল বাংলা ডিজিটাল বাংলাদেশ তথ্য ও প্রযুক্তি ধর্ম ও জীবন প্রাচীন মিশর ফ্রিল্যান্সিং বাংলা সাহিত্য বায়োগ্রাফি বিখ্যাত শিক্ষনীয় উক্তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনোদন বিবিধ ভ্রমণ মোটিভেশন মোটিভেশনাল উক্তি রিভিউ লাইফস্টাইল শিক্ষনীয় উক্তি শিক্ষাঙ্গন সাহিত্য সুস্বাস্থ্য সেলিব্রেটি স্বাস্থ্য ও সেবা হেলথ টিপস

Facebook Page

Useful Links

  • Home
  • About us
  • Contributors
  • গোপনীয়তার নীতি
  • নীতিমালা ও শর্তাবলী
  • যোগাযোগ
  • Home
  • About us
  • Contributors
  • গোপনীয়তার নীতি
  • নীতিমালা ও শর্তাবলী
  • যোগাযোগ

© 2024 DigiBangla24

Welcome Back!

OR

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সংবাদ
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • সারাবাংলা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য ও সেবা
  • খেলাধুলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • অ্যাপস কর্ণার
  • ধর্ম ও জীবন
  • Login

© 2024 DigiBangla24

This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.